প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২৫
হাজীগঞ্জের মর্ডান ডেন্টাল কেয়ারের সবই ভূয়া !
পরিপাটি ছিমছাম আর ৩ জন চিকিৎসকের সেবায় চলে আসছে মর্ডান ডেন্টাল কেয়ার। হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে প্রধান সড়কের উত্তর পাশে আখড়া সুপার মার্কেটে বহু বছর ধরে রোগীরা চিকিৎসার নামে প্রতারিত হয়ে আসছে। এর প্রতিষ্ঠাতা মৃত চিকিৎসককে জীবিত দেখিয়ে স্ত্রী আর সন্তান মাসের পর মাস চালিয়ে আসছে চেম্বারটি। চিকিৎসা সেবার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সোমবার দুপুরের পর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ সিলগালা করে দেয় চেম্বারটি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার মেহেদি হাসান মানিক।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা মোহাম্মদ আলী ও ডা তাহমিনা আলী স্বামী-স্ত্রী। মর্ডান ডেন্টাল কেয়ারটি তারা উভয়ে রোগী দেখে চিকিৎসা সেবা দিতেন। বছর দেড়েক আগে মালিক ডা: মোহাম্মদ আলী মারা যান। এর পর থেকে এটি নিয়ন্ত্রনে নেন স্ত্রী কথিত দন্ত চিকিৎসক তাহমিনা আলী। তিনি নিজে রোগী দেখার পাশাপাশি মাহবুব আলম অন্য একজনসহ তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে চিকিৎসক সাজিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। যা ভ্রাম্যমান আদালত প্রমান পান।
সূত্র জানায়, মর্ডান ডেন্টাল কেয়ারের সাইনবোর্ড কিংবা প্রেসক্রিপশনে তিন জন চিকিৎসকের নাম রয়েছে। সাইনবোর্ডে যে তিনজন ডাক্তারের নাম রয়েছে তারা হলেন, ডা. মোহাম্মদ আলী ( মৃত) , ডা. মাহবুব আলম ও ডা. তাহমিনা আলী। উক্ত চেম্বারের সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড ও প্রেসক্রিপশনে নাম থাকা ডা. মোহাম্মদ আলী তার স্বামী। যিনি দেড় বছর আগে মারা গেছেন।
সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ তদন্ত কাজে মর্ডাণ ডেন্টাল কেয়ারের চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ভুয়া চিকিৎসক তাহমিনা আলী। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিষ্ঠানের মালিক তাহমিনা আলীকে প্রতারণার দায়ে বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির সকল প্রকার কাগজপত্র বৈধ করা পর্যন্ত সিলগালা করে দেয়।
আদালত পরিচালনা করা কালে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম মাওলা, মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর সামছুল ইসলাম রমিজ ও উপ-পরিদর্শক আজিজ ।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মেহেদী হাছান মানিক জানান, ডা. মাহবুব আলী নামে কেউ এখানে আসেন না । চিকিৎসা সেবাও দিচ্ছেন না। ডা. তাহমিনা আলীর হোমিও চিকিৎসার কিছু কাগজপত্র দেখাতে পারলেও ডেন্টাল চিকিৎসার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া তার স্বামী দেড় বছর আগে মারা গেলেও এখনও প্রেসক্রিপশন দেয়া হয় তার নামে এমনকি মৃত ব্যক্তির নামে ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে তাতে রোগী দেখার সময় নির্ধারন করা হয়।